
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: আলুভাজা, শাক ভাজা, বেগুন ভাজা, উচ্ছে ভাজা, আখ ভাজা, বাসন্তী পোলাও, ধবধবে সাদা চালের ভাত, মুগের ডাল, দু রকমের তরকারি, চাটনি, পায়েস। সবই নতুন ধান আর বাজারে ওঠা নতুন সবজি দিয়ে তৈরি। এটা কোনও নিরামিষ পাইস হোটেলের মেনু নয়। এটা বর্ধমানের জনপ্রিয় মন্দির সর্বমঙ্গলা দেবীর নবান্নের ভোগ। আজ, রবিবার দেবীকে নতুন চালের এই ভোগ দেওয়া হবে। তার সাথে রয়েছে গুড়, চাল, মিষ্টি আর ফল দিয়ে তৈরি নবান্নের প্রসাদ।
আজ মায়ের এই ভোগ থাকবে আমজনতার জন্যও।কাউন্সিলর স্বীকৃতি হাজরা নিজেই প্রসাদ বিতরণ করছেন। এসেছেন পুরপতি সহ ভিআইপিরাও। কার্তিকের এই নবান্নের দেশে হিমের পরশ গায়ে মেখে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে নবান্ন উৎসব শুরু হয়েছে। দেশের শস্যগোলা বর্ধমান চিরদিন কৃষিপ্রধান। নবান্ন তাই এখানে দুর্গাপজোর মতই বড় উৎসব। আমজনতার উৎসব। সর্বমঙ্গলা বাড়ির নবান্নের দিনই অনেক গ্রামে নবান্ন শুরু হয়। গ্রামের মানুষ, শহরবাসী রবিবার প্রসাদ খেয়ে নতুন ধানে হাত দেন। বাইরে থেকেও অনেকেই মন্দিরে আসেন বেড়াতে বা দেবীদর্শনে। এদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে গমগম করছে মন্দির।
প্রায় ১২০০-র বেশি ভোগ বিলি হবে। সবটাই মালসায়। বসে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। মালসাভোগের দক্ষিণা সামান্যই। এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সামলাতে আছেন স্কাউট আর পুলিশের কর্মীরা। মন্দির কমিটির পক্ষে সঞ্জয় ঘোষ জানান, প্রতিবছরই স্বেচ্ছাসেবীরা মায়ের মন্দিরে ভক্তদের পরিষেবা দেন। এবারেও এসেছেন। ইতিহাস গবেষক সর্বজিৎ যশ জানিয়েছেন, সর্বমঙ্গলা মন্দিরের নবান্নের আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। তিনি জানান, ফর্ম পাল্টালেও নবান্নের গৌরব একেবারে অস্তমিত হয়নি।
যাঁরা মন্দিরে সকাল থেকে এসেছেন, সেই ভক্তরা জানান, 'এখানে এসে মন ভাল হয়ে যায়। বাইরে থেকে আসায়, এটা নতুন অভিজ্ঞতা।' এই মন্দির ঘিরে অনেক কাহিনিও শোনা যায়। রাজা তেজচন্দ্রের আমলে মন্দিরটির পত্তন হয়। স্বয়ং রামকৃষ্ণ এই মন্দিরে এসেছেন বলে কথিত আছে। লোক শ্রুতি, প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর আগে বর্ধমানের উত্তরাংশে বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বাগদিরা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা একটি শিলামূর্তি পেয়েছিলেন। সেটিকে প্রস্তর খণ্ড ভেবে তার উপরে শামুক–গুগলি থেঁতো করতেন তাঁরা। শামুকের খোলা নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুণ ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হয় । তবে আশ্চর্যজনকভাবে সেই সময় শিলামূর্তিটির কোনও ক্ষতি হয়নি।
রাতেই স্বপ্নাদেশ পান তৎকালীন রাজা সঙ্গম রায়। এরপর শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য করে সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব।
মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরে বড়সড় বদল, নতুন সফরসূচি জানিয়ে দিল প্রশাসন
বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত কৃষক উকিল বর্মন, বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি
শুধু সি-ফেসিং নয়, হোটেল হতে হবে মন্দির-ফেসিং, দিঘায় তুঙ্গে চাহিদা
বিজেপি বনাম বিজেপি, পশ্চিম মেদিনীপুরের রাস্তায় দুই গোষ্ঠীর মারপিট
আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম স্থানে কোচবিহারের আত্রেয়ী-অনুষ্কা
আইসিএসই পরীক্ষায় ৯৯.০৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল হুগলির পড়ুয়া
অনুষ্ঠানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি সাংসদ সৌগত রায়
সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই শুরু হল তুমুল বাগবিতণ্ডা, সাংসদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বিদায়ী সভাপতির
'ভগবানের কাছে এসেছি, যাঁরা বুঝতে পারছেন না ভগবান তাঁদের সুমতি দিন', দিঘায় জগন্নাথধাম দর্শনের পর জানালেন দিলীপ
স্ত্রীকে খুনের পর দুই শিশু সন্তানের গলায় ভোজালি ধরে ঘরবন্দি, ঘটনা হার মানাবে ক্রাইম থ্রিলারকেও